করোনার প্রাদূর্ভাবে হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা না পেয়ে যখন মানুষ দিশেহারা, তখন যশোরের মনিরামপুরে কৃতিসন্তান গরীবের ডাক্তার নামে খ্যাত ডাঃ মেহেদী হাসান টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সারাদেশের করোনা আক্রান্তদের বিনামূল্যে রাত-দিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গরীবের ডাক্তার মেহেদী এ পর্যন্ত নয় হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীকে টেলিমেডিসিনের আওতায় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছেন। তার এই অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডাঃ মেহেদী হাসানকে ‘অ্যাক্ট অব ব্রেভারি’ ক্যাটাগরিতে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডে’র পর এবার এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ডাক্তার মেহেদী হাসান বর্তমানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে কর্মরত আছেন।
গত বুধবার ঢাকায় যুব ও ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহেদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। এসময় ভার্চুয়ালে অতিথি ছিলেন ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি তাহা আয়হান। অনুষ্ঠানে ডাঃ মেহেদী হাসানের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও চেক তুলে দেন অতিথিরা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশে করোনা মহামারিতে অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে এবং ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ), ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সহযোগীতায় গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাঃ মেহেদী হাসানকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ডাক্তার মেহেদী হামান যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের হাজী জবেদ আলীর ছোট পুত্র। তিনি ২০১৪ সালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই থেকে তিনি চাকরির পাশাপাশি নিজ এলাকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। করোনাকালে ভয়কে উপো করে ডাঃ মেহেদী প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় এসে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। এেেত্র তিনি তাঁর পেশাদারী দায়িত্বের বাইরে এসে একজন ভালো মানুষ হিসাবে বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
ডাঃ মেহেদী হাসান জানান, করোনাকালে শুধু টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ২০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। ৯ হাজার করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছেন। ঢাকাতেও বিশেষ করে অ্যাডমিন (প্রশাসন) ক্যাডারসহ ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। ডাঃ মেহেদী হাসানের অনবদ্য অবদানের জন্য ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস এবং ৬ ডিসেম্বর ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প থেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।